SM IT

বিষয়:“ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে শহিদ করার মাধ্যমে বদরের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে নরাধম এজিদ”।
কৃত: আল্লামা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক
উপাধ্যক্ষ, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদরাসা।





হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ এর মাজার শরীফ।
রোডস্ এন্ড হাইওয়ে কিংবা এলজিইডি অথবা অন্য কোন লোভনীয় সেক্টরের কিছু কিছু অসাধু ঠিকাদারের কথা বলছি না যারা জনগণের টাকা চুরি করে নিজেরা বিত্তবান বনে যান রাতারাতি।বলছি নব্য এজিদি ঠিকাদারদের কথা যারা জান্নাতের সার্টিফিকেট পাওয়া আহলে বাইতকে ঘা মেরে আবু জেহেলদের ভাবশিষ্য এজিদকে নিরপরাধ মাছুম-প্রায় পাক্কা ইমানদার বানানোর জন্য ইসলামের ধর্মঘর পার্লারে তার ধর্মীয় প্লাস্টিক সার্জারী করার দালালী করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কেউ কেউ ঐ খবিস এজিদকে পাক্কা ‘ইমাম’ বানাতে তৎপর। কেউ বা ‘খলিফাতুল মুসলিমিন’। কেউ তার নামের শেষে ‘রাহমাতুল্লাহি’ না বললে রাতে নির্ঘুম থাকতে হয়। কেউবা তাকে ‘জান্নাতি’ বলে স্বর্গের সূধা পান করে। কেউ তাকে ‘ক্ষমা প্রাপ্ত’ সার্টিফিকেট দিয়ে দেয় কোন রকম ফি নেয়া ছাড়াই। কেউ আবার এজিদকে ‘ইসলামের মহান খেদমতগার’ না বললে তাদের ইসলামই পাক্কা হয় না। ইদানিং আবার এজিদ ও ইবনে জিয়াদকে ‘শহিদে’র মর্যাদা দেয়ার শ্লোগানও বাতাসে উড়ে। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, ঐ ‘মৃত এজিদে’র এত শান-মান (!) বয়ান শুরু করেছে ঐ সকল ব্যক্তিরাই যারা মৃত ব্যক্তিদের আলোচনার যে কোন মাহফিলকে বেদআত ও শির্ক বলে! নবি ও অলি-আওলিয়াদের শান-মান আলোচনার জন্য স্বরন-সভা, ফাতেহা, ইসালে সওয়াব, ইদে মিলাদুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, কুলখানি ইত্যাদি করা যাদের ফতোয়ায় অনৈসলামিক কর্ম তাদের কাছে ‘মৃত এজিদে’র এত আলোচনা ‘ইসলামিক’ কাজ বনে গেল কিভাবে? ভাবটা এমন ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আহলে বাইতকে শহিদ করে এজিদ ইসলামের বড় খেদমত করেছে মনে হয়! ঠিকাদাররা তাদের ‘আমিরুল মু’মিনিন’ এজিদকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য বলে, ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এর পবিত্র মাথা মুবারক সামনে দেখার পর এজিদ নাকি খুব করে কেঁদেছে। এই ঠিকাদাররাই আবার আহলে বাইতের ঐ শাহাদাতের কথা স্মরণ করে আমাদের চোখে পানি দেখলে বেদআতের ফতোয়া দেয়। মানে, এজিদের জন্য যা তার ‘নির্দোষ’ হওয়ার ‘ঠান্ডা প্রমাণ’ আমাদের ক্ষেত্রে তাই বেদআত হওয়ার ‘গরম দলিল’। এজিদ নাকি ঐ হত্যাকান্ডের হুকমও দেয় নাই, জানেও না; এ ব্যাপারে তার সম্মতিও নাকি ছিলনা! কু-কর্মগুলো সবই ঐ ইবনে জিয়াদের! বাহ! নীতিবান (!) এজিদকে বাঁছানোর কী প্রাণপাত প্রচেষ্টা! তবে প্রশ্ন আরেকটা থেকেই যায়। এজিদ ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে শহিদ করা ন্যায় মনে করেছে না অন্যায়? যদি ন্যায় মনে করে, তবে হত্যার দায়ভার এজিদের উপরও। আর যদি অন্যায় মনে করে, তবে ইবনে জিয়াদের অন্যায় কাজের শাস্তি না দেয়ার কারণে এজিদ অপরাধী। সুয়ুতীসহ পৃথিবীর বাঘা বাঘা মুহাদ্দিস ও ইসলামিক ইতিহাসবিদগণের অকাট্য তথ্য মোতাবেক ‘বে-নামাযি মদ্যপায়ী’ ছিল এজিদ। তাকে ‘আমিরুল মু’মিনিন’ বানানোর চেষ্ঠা জগতের সেরা লজ্জা; জান্নাতি বানানোর অপতৎপরতা কুরআন-হাদিসের সাথে তামাশা; ‘রাহমাতুল্লাহি আলাইহি’ বলা আহলে বাইতকে মর্যাদা দানকারী আল্লাহ ও রাসূলের সাথে উপহাসের শামিল। এজিদের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী মদিনা শরিফে আক্রমন করে হাজার হাজার নারীর ইজ্জত লুন্ঠন করেছে, অসংখ্য সাহাবিদের শহিদ করেছে, মসজিদে নববিকে ঘোড়ার আস্তাবল বানিয়েছে। তার পরও এজিদ নির্দোষ, জান্নাতি, মাগফুর!! তারই বাহিনী বায়তুল্লাহ শরিফে আক্রমণ করে আগুন লাগিয়ে ‘আবরাহা’র অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেছে! তারপরও এজিদ পাক্কা ইমানদার, আমিরুল মু’মিনিন!! ইসলামের আমিরুল মু’মিনিনের হাতেই যদি ইসলামের কেবলা কাবা শরিফ আক্রান্ত হয়, তবে অন্য ধর্মের লোকেরা এই মহৎ(!) কাজে অংশ গ্রহণ করলে তো তাদেরকে আজ ‘এজিদি এ্যাওয়ার্ড’ দেয়া দরকার হবে। হায়রে বিবেক-বোধ! হায়রে ধর্ম-বোধ! ইমানি চেতনা আজ কোথায় গেল! প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আহলে বাইতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মুনাফেক’। আর ঠিকাদাররা ইমাম হুসাইনকে শহিদকারীদের পাক্কা ইমানদার বলছে! প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে শত্রুতা পোষণকারী আল্লাহর শত্রু ও জাহান্নামি’। আর ঠিকাদাররা এজিদের নামের শেষে ‘রাহমাতুল্লাহি আলাইহি’ লাগিয়ে তাকে জান্নাতের পবিত্র (!) মানবের সার্টিফিকেট দিচ্ছে!
প্রিয় পাঠক, মহরম আসলেই সুনামির জোয়ারের মত বেড়ে যাওয়া এজিদ-বন্দনার মধ্য দিয়ে যারা এজিদের ‘অঘোষিত মৃত্যু বার্ষিকী’ পালন করে, ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর পবিত্র মস্তক মোবারক সামনে আনার পর তাদের ‘আমিরুল মু’মিনিন’ যে বদরের যুদ্ধে মারা যাওয়া কাফের নেতা আবু জেহেলদের বন্দনা করেছে তা হয়ত তাদের কানে যায়নি এখনো। কিন্তু ইতিহাস যে দূর ভবিষ্যতে হলেও কথা বলে! আহলে বাইতের মুহাব্বতের কথা বললেই যারা শিয়ার অপবাদ দেয় তাদের জবাব ইমাম শাফেয়ি (রহ:) ভালভাবেই দিয়েছেন । আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত হযরত আমিরে মুয়াবিয়াকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর সাহাবি হওয়ার কারণে যেমন সম্মান করে, গায়ে ছুরির আঘাত করে কাল্পনিক দুলদুল সাজিয়ে প্রচলিত তাজিয়া মিছিলকে যেমন অবৈধ মনে করে; তেমনি হযরত আলি-ফাতেমা-হাসান–হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুম সহ আহলে বাইতের প্রতি সম্মান ও মহব্বতকেও ফরজ মনে করে। হযরত আলি ও আহলে বাইতের মর্যাদা প্রসঙ্গে সীমালঙ্গনকারী শিয়ারা অসংখ্য জাল হাদিস তৈরী করেছে তা যেমন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জানা আছে , উগ্রপন্থি খারেজিরাও যে যুগে যুগে আহলে বাইত ও ইমাম নাসায়িসহ আহলে বাইতকে মহব্বতকারীদের উপর ‘জল্লাদী’ নির্যাতন চালিয়েছে তাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ভুলে যায়নি।
প্রিয় পাঠক, ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর পবিত্র মস্তক মোবারক এজিদের সামনে আনার পর এজিদ কয়েক লাইন কবিতা আবৃত্তি করেছিল- তা নিম্নরূপ,
ليت أشياخي ببدر شهدوا ... جزع الخزرج من وقع الأسل
قد قتلنا القوم من ساداتكم ... وعدلنا ميل بدر فاعتدل
فأهلوا واستهلوا فرحا ... ثم قالوا: يا يزيد لا تسل
“আমার কাছে কতই না ভাল লাগত, যদি বদরের যুদ্ধের আমার শায়কগণ দেখত, তরবারির আঘাতে খাযরাজ গোত্রের যন্ত্রণার দৃশ্যের মত – আমি তাদের সম্মানীয়দের মধ্য থেকে দ্বিগুণ সংখ্যক হত্যা করে বদরের একদিকে ঝুঁকে থাকা দন্ডটা সমান করে দিয়েছি। তারা আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দে চিৎকার করে বলত, এজিদ থেমে যেয়ো না”। বদরের দাঁড়ি-পাল্লাটা কোন দিকে ঝুঁকে ছিল? সবাই জানে, আবু জেহেল, আবু লাহাব সহ সত্তর জন কাফের নেতাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বিজয়ের পাল্লা মুসলমানদের দিকেই পুরোপুরি ঝুঁকে ছিল। আর এজিদ ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আহলে বাইতকে শহিদ করার মাধ্যমে সেই পাল্লাটা সোজা করে দিল। বদরের আমার শায়খগণ দেখলে তারা খুবই খুশি হত, আমার কাছেও বড় ভাল লাগত! বিজয় পাল্লা মুসলমানদের দিকেই ঝুঁকে ছিল পুরোপুরি। ঐ পাল্লা সমান করে দেয়া মানে মুসলমানদের বিজয়-হীনতা প্রতিষ্ঠিত করা। মুসলমানদের বিজয়-হীনতায় যে শায়খরা খুশি হবে সে শায়খদের নাম আবু জেহেল ও আবু লাহাব গং। মহান(!) ঐ শায়খদের, মানে আবু জাহেল ও আবু লাহাবদের খুশি করার পুরো কৃতিত্ব এজিদ নিজেই নিজের ঝুলিতে পুরিয়ে নিল। আর ‘এজিদ ঠিকাদাররা’ বলে কারবালার ট্রাজেডিতে এজিদের কোন ভূমিকাই ছিলনা! কার কথা বিশ্বাস করব- এজিদের কৃতিত্ব-দাবী, না ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে এজিদের ‘কৃতিত্ব-শূন্য নেতৃত্যে’র শ্লোগান ?
প্রসঙ্গত; উল্লেখ্য যে কাফেররা বদরের যুদ্ধে পরাজয়ের পর উহুদের যুদ্ধে সত্তর জন সাহাবী শহিদ হলে তখনও ইসলাম গ্রহন না করা আব্দুল্লাহ ইবনুয্ যাবআরী প্রতিশোধের আগুনে পুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ প্রকাশের অংশ হিসেবে যে কবিতা রচনা করেছিল এজিদের আবৃত্তি করা পংক্তিগুলো সে কবিতারই অংশ। মানে, প্রিয় শায়খদের এমন সূচনীয় পরাজয় মেনে নিতে পারেনি নরাধম এজিদ। জয়-পরাজয়ের এমন অসম পাল্লাটা সোজা করে একটা প্রতিশোধ নেয়ার মাহেন্দ্র ক্ষণের অপেক্ষায় ছিল সে।
প্রিয় পাঠক , আরবী قتلنا (কাতালনা)শব্দটি লক্ষ করুন। অর্থ আমি হত্যা করেছি। এজিদ নিজেই যেখানে আহলে বাইতকে হত্যা করার স্বীকৃতি প্রদান করে সেখানে ঠিকাদাররা এজিদকে হুসাইন-হত্যার দায়মুক্তির সবুজ সনদ দিয়ে পবিত্র ইমাম বানাতে ব্যস্ত!
আদ্দালনা ও ফা’তাদাল শব্দ দু‘টিও খেয়াল করুন। মানে, ‘আমি সোজা করে দিয়েছি এবং তা সোজা হয়ে গিয়েছে’। মুসলমানদের দিকে ঝুঁকে থাকা বিজয়ের পাল্লা মুসলিম হত্যার মাধ্যমে সোজা করে দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের বুঝি বড় উপকার করেছে তাদের ঐ ‘জান্নাতি আমিরুল মুমিনিন’!
প্রিয় পাঠক, এজিদের শায়খদেরকে চিনেছেন তো! আবু জেহেল, আবু লাহাবদের মত বড় বড় কাফের নেতা! ঐ শায়খরা যে কাজে খুশি হবে এজিদ সে কাজে শতভাগ সফল! ঐ শায়খদের খুশি করতে এজিদের হাতে ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে শহিদ করার বিকল্প কি ছিল বলেন? কাফের শায়খদের খুশি করতে নবি বংশকে হত্যা করার চেয়ে অধিক মহৎ(?) কাজ এজিদ খুজেঁ পাবে কোথায়? যে এজিদ আবু জেহেলের মত শায়খদের রেজামন্দি হাসিল করতে ব্যস্ত সে আল্লাহ ও রাসূলের রেজামন্দি প্রাপ্ত ইমানদার হয় কিভাবে?
কাফেরদের আনুকল্য প্রত্যাশাকারীদের আসল পরিচয় সূরা-আলে ইমরানের ২৮ নং আয়াত আছে। এজিদ নিজেই যখন আবু জাহেলদেরকে ‘আমার শায়খ’ বলে গর্ববোধ করেছে তখন ঠিকাদাররা নিরব কেন? ‘আবু জাহেল কো আপনা শায়খ কেহনে ওয়ালা পাক্কা ইমানদার ,জান্নাতি ,মাগফুর , আমিরুল মু‘মিনিন’ হ্যায় !!!
প্রিয় পাঠক, এজিদের আবৃত্তি করা কবিতার প্রথম শব্দটা তার আসল পরিচয় প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ঠ। গুরুত্বপূর্ণ সে শব্দটি হল ليت (লাইতা)। আরবী ভাষায় এ শব্দটি শুধুমাত্র ঐ বিষয়ের বস্তুর উপরই ব্যবহার হয় যে বিষয়বস্তু ঐ শব্দ ব্যবহারকারীর কাছে অত্যধিক প্রিয় ও ভালবাসার হয়। এজিদ ليت (লাইতা) শব্দ ব্যবহার করে মূলত; তার মধ্যে লুকিয়ে থাকা ‘আসল এজিদে’র পরিচয় তুলে ধরেছে পৃথিবীর কাছে। তাহলে ليت (লাইতা)শব্দের পরে উল্লেখিত বিষয়গুলোই ঐ আসল এজিদ এর মূল প্রেরণা ও বিশ্বাস এবং সে হিসেবে আসল এজিদের মূল পরিচয় এ রকম –
যে আহলে বাইতের রক্তপাত করতে খুব ভালবাসে,
যে হুসাইনের উপর আঘাত করতে খুব ভালবাসে,
যে হুসাইনের শিরচ্ছেদ করতে খুব ভালবাসে,
যে আবু জেহেল আবু লাহাবদের খুশি করতে খুব ভালবাসে,
যে আবু জেহেল আবু লাহাবদের শায়খ বলতে খুব ভালবাসে,
যে বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়-হীনতা প্রতিষ্ঠা করতে খুব ভালবাসে,
বিশিষ্ট তাবেয়ি তাফসির বিশারদদের শিরোমনি ইমাম মুজাহিদ বলেন, কবিতার এই পংক্তি গুলো আবৃত্তি করার মাধ্যমে এজিদ যে আসলে মুনাফিক সে নিজেই তা প্রকাশ করেছে।
বি: দ্র: কুস্তুনতিনিয়ার প্রথম অভিযান সম্পর্কিত হাদিস দিয়ে যারা এজিদকে জান্নাতি বানাতে শশব্যস্ত তাদের বক্তব্যের অসাড়তা ভবিষ্যতে সময় পেলে প্রমাণ করব ইনশায়াল্লাহ।
এজিদের আবৃত্তি করা কবিতার পংক্তি গুলো- কোথাও আংশিক কোথাও পুরো - যে সকল র্নিভরযোগ্য কিতাবে আছে তা নিম্নরূপ,
تاريخ الطبري :محمد بن جرير بن يزيد بن كثير بن غالب الآملي، أبو جعفر الطبري (المتوفى: 310هـ)
البداية والنهاية : أبو الفداء إسماعيل بن عمر بن كثير القرشي البصري ثم الدمشقي (المتوفى: 774هـ)
شذرات الذهب في أخبار من ذهب : عبد الحي بن أحمد بن
محمد ابن العماد العَكري الحنبلي، أبو الفلاح (المتوفى: 1089

Post a Comment