SM IT

 ♦♦ আশুরার রোজার ফজিলতঃ
-------------------------------------------------------------------------



মুহাররম মাসের সুন্না আমল সম্পর্কে সহীহ হাদীস সমূহে যা বর্ণিত হয়েছে তা হ’ল আশূরার সিয়াম পালন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম ১০ই মুহাররমে সিয়াম পালন করেছেন। ইহূদী ও নাছারারা শুধুমাত্র ১০ই মুহাররমকে সম্মান করত এবং সিয়াম পালন করত। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরোধিতা করার জন্য ঐ দিন সহ তার পূর্বের অথবা পরের দিন সহ সিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব সুন্নাত হ’ল, ৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররমে সিয়াম পালন করা। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস রাদিআল্লাহুতাআ'লাআনহু হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

حِيْنَ صَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُوْدُ وَالنَّصَارَى. فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّىَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশূরার সিয়াম পালন করলেন এবং সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন, তখন ছাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ! ইহূদী ও নাছারাগণ এই দিনটিকে (১০ই মুহাররম) সম্মান করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আগামী বছর বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ই মুহাররম সহ সিয়াম করব ’। রাবী বলেন, কিন্তু পরের বছর মুহাররম আসার আগেই তিনি রফিকে আ'লার নিকট চলে যান। 

অন্য হাদীছে এসেছে, ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

صُوْمُوْا يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ وَخَالِفُوْا فِيْهِ الْيَهُوْدَ صُوْمُوْا قَبْلَهُ يَوْماً أَوْ بَعْدَهُ يَوْماً- 

‘তোমরা আশূরার দিন সিয়াম রাখ এবং ইহূদীদের বিরোধিতা কর। তোমরা আশূরার সাথে তার পূর্বে একদিন বা পরে একদিন ছিয়াম পালন কর’।


♦♦♦আশূরার সিয়ামের ফযীলতঃ

ফযীলতের দিক থেকে রামাযানের সিয়ামের পরেই আশূরার ছিয়ামের অবস্থান। এটা পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ। অর্থাৎ এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়। 

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- 

‘রমযানের পরে সর্বোত্তম সিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের সিয়াম (অর্থাৎ আশূরার সিয়াম) এবং ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম সালাত হ’ল রাতের নফল সালাত’ (অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত)।

অন্য হাদীছে এসেছে, আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, 

وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ- 

‘আমি আশা করি আশূরা বা ১০ই মুহাররমের সিয়াম আল্লাহর নিকটে বান্দার বিগত এক বছরের (ছগীরা) গোনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হবে।

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে মহররম মাসের  ফজিলত বুঝে আমল  করার তাওফিক দ্বান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।


Post a Comment