۞শানে রিসালাত ۞
1) আল্লাহ ঘোষণা দেন: “আর(হে হাবীব সা:)! আমি আপনার স্মরণকে সমুন্নত করেছি।”
(সূরা ইনশিরাহ, ৯৪:৪)
Explain আল্লাহ তার হাবিব(সা:) এর নাম -----
---কালেমা
---আল-কুরআন
---আযান
---খুতবা
---নামাজ
---৭ আসমানের স্তরে স্তরে
---সিদ্রাতুল মুন্তাহার পাতায় পাতায়
---জান্নাতের প্রত্তেক দরজায়
---সকল ফেরেশ্তাদের চুখের মনিতে ওনার নাম মুবারাক অংকিত রেখেছেন.
(তফসীরে কাঞ্জুল ইমান ও খাজাইনুল ইরফান)
2)"আমি যা জানি তুমরা তা জান না "-আল-কুরআন
3)"আমি জিন ও ইনসান কে তইরি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য "
---আল-কুরআন
4)
كنت كنزا مخفيا فاحببت ان اعرف فخلقت الخلقت لاعرف
অর্থ: আল্লাহ পাক বলেন,আমি গুপ্ত ছিলাম। আমার মুহব্বত হলো যে, আমি জাহির/প্রকাশিত হই। তখন আমি আমার ( রুবুবিয়্যত) জাহির করার জন্য সৃষ্টি করলাম মাখলুকাত"
সুত্র:::-
√ আল মাকাসিদুল হাসানা ৮৩৮
√ কাশফুল খিফা ২০১৩
√ আসনাল মুত্বলিব ১১১০
√ তমীযুত ত্বীব ১০৪৫
√ আসরারুল মরফুয়া ৩৩৫
√ তানযিয়াতুশ শরীয়া ১/১৪৮
√ আদ্দুরুল মুন্তাসিরা ৩৩০
√ আত তাযকিরা ফি আহাদীসিল মুশতাহিরা ১৩৬
√ কানযুল উম্মাল।
5)আল্লাহ পাক হাদীসে কুদসিতে ইরশাদ করেন-
لولاك لما اظهرت الربوبية
অর্থ : হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্যে না থাকলে আমি রুবুবিয়্যাতই প্রকাশ করতাম না।"
দলীল-
√ কানযুল উম্মাল
6)--হাদীস শরীফ--
عن ابن اباس رضي الله عنهما انه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم اتاني جبريل عليه السلام فقال يا رسول الله صلي عليه و سلم لولاك ما خلقت الجنة ولولاك ما خلقت النار
অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আপনি যদি না হতেন তবে আমি জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না। "
সুত্র-
√ কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২
√ দয়লামী শরীফ ।
অপর হাদিসে আছে:-
♥হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (দ:)-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো। রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”
Reference :-
** হাকিম তাঁর ‘মোসতাদরেক’ গ্রন্থে
** আবূ শায়খ নিজ ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী’ পুস্তকে
** ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী রচিত ‘শিফাউস্ সিকাম’
** শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী প্রণীত ‘ফতোওয়া’
** ইবনে হাজর আসকালানী রচিত ‘আফদাল আল-কুরআন’ গ্রন্থগুলোতেও উদ্ধৃত
7)
عن حضرت ابي هريرت رضي الله عنه قال قال رسول صلي الله عليه و سلم كنت اول النبين في الخلق واخرهم في البعث
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, সৃষ্ট জীবের মধ্যে আমি সর্বপ্রথম নবী হিসাবে সৃষ্টি হয়েছি। কিন্তু আমি প্রেরিত হয়েছি ( যমীনে প্রকাশ পেয়েছি) সব নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের শেষে।"
দলীল-
√ তাফসীরে বাগবী ৫/২০২
√ দূররে মানছুর ৫/১৮৪
√ শেফা ১/৪৬৬
√ মানাহিলুচ্ছফা ৫/৩৬
√ কানযুল উম্মাল ৩১৯১৬
√ দয়লামী ৪৮৫০
8)অপর হাদীস শরীফে বর্নিত আছে-
ان الله تعالي قد خلق قبل الاشياء نور نبيك
অর্থ : নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সব কিছুর পূর্বে আপনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। "
দলীল-
√ মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠা- হাদীস ১৮
√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২
√ মাওয়াহেবুল লাদুননিয়া ১ খন্ড ৯ পৃষ্ঠা
√ রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
√ দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
√ যুরকানী ১/৪৬
√ নশরুত ত্বীব ৫ পৃষ্ঠা
√ দেওবন্দী আজিজুল হক অনুদিত বাংলা বুখারী ৫/৩
9) " যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে,আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হ’তে সাবধান
থাকে তারাই সফলকাম "
(নূর ২৪/৫১-৫২)
রাসুলুল্লাহ(সা:) এর আনুগত্য সম্পর্কে ---
---নিসা 80,59
---আনফাল 1,24
---আল ইমরান 31
---আল -আহযাব 21,36
---নুর 47,51,52,54
---ফাতহ 10
10) আল্লাহ তায়ালা ওনার হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কতই মধুর ভাবে ভালবেসে সম্মান করে সম্বোধন করেছেন - সুবাহানাল্লাহ
a) হে নবী আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি। (আল-কুরআন,সূরা আহযাব, আয়াত : ২৩)
b) হে রাসূল! আপনার উপর অবতারিত বিষয়গুলো পৌছে দিন। (আল-কুরআন,সূরা মায়েদা, আয়াত : ৬৭)
c) হে কম্বল আবৃত নবী। (আল-কুরআন,সূরা ময্যাম্মিল, আয়াত : ১)
হে চাদর আচ্চাদনকারী। (আল-কুরআন,সূরা মুদ্দাসির,আয়াত : ১)
ইয়াসিন – বিজ্ঞানময় কোরআনের শপথ, আপনি অবশ্যই রাসূলগণের অর্ন্ত্মভূক্ত। (আল-কুরআন,সূরা ইয়াসিন, আয়াত : ১-৩)
d) অচিরেই আপনার রব আপনাকে দেবেন যাতে আপনি খুশি হয়ে যাবেন। (আল-কুরআন,সূরা আদ দোহা, আয়াত : ৫)
e) তিনি নিজের ইচ্ছায় বলেন না; কিন্তু তার প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়। (আল-কুরআন,সূরা নাজম, আয়াত : ৩-৪)
f) দোহার শপথ, রাতের শপথ যখন অন্ধকার আচ্ছাদিত করে। আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করে নাই বরং আপনাকে শত্রুও করেন নাই। (আল-কুরআন,সূরা আদ দোহা, আয়াত: ১-৩)
g) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর কাজকে নিজের দিকে সম্পর্কিত করেছেন-
আর যখন আপনি কাঁংকর ছুঁড়েছিলেন তখন তা আপনি ছুঁড়েন নি, (হে রাসুল (সা) বরং তা) আল্লহই ছুঁড়েছিলেন”। (সূরা আনফাল, আয়াত ১৭)
h) নিশ্চয়ই যারা আপনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছেন মূলত তাঁরা আল্লাহর হাতে বাইয়াত গ্রাহণ করেছেন। আল্লাহর পবিত্র হাত তাঁদের হাতের উপর রয়েছে। (আল-কুরআন,সূরা আল-ফাতাহ, আয়াত : ১০)
i) হে ঈমাণদারগণ!আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অগ্রবর্তী হইওনা। (আল-কুরআন,সূরা হুজরাত, আয়াত : ১)
a) হে নবী আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি। (আল-কুরআন,সূরা আহযাব, আয়াত : ২৩)
b) হে রাসূল! আপনার উপর অবতারিত বিষয়গুলো পৌছে দিন। (আল-কুরআন,সূরা মায়েদা, আয়াত : ৬৭)
c) হে কম্বল আবৃত নবী। (আল-কুরআন,সূরা ময্যাম্মিল, আয়াত : ১)
হে চাদর আচ্চাদনকারী। (আল-কুরআন,সূরা মুদ্দাসির,আয়াত : ১)
ইয়াসিন – বিজ্ঞানময় কোরআনের শপথ, আপনি অবশ্যই রাসূলগণের অর্ন্ত্মভূক্ত। (আল-কুরআন,সূরা ইয়াসিন, আয়াত : ১-৩)
d) অচিরেই আপনার রব আপনাকে দেবেন যাতে আপনি খুশি হয়ে যাবেন। (আল-কুরআন,সূরা আদ দোহা, আয়াত : ৫)
e) তিনি নিজের ইচ্ছায় বলেন না; কিন্তু তার প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়। (আল-কুরআন,সূরা নাজম, আয়াত : ৩-৪)
f) দোহার শপথ, রাতের শপথ যখন অন্ধকার আচ্ছাদিত করে। আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করে নাই বরং আপনাকে শত্রুও করেন নাই। (আল-কুরআন,সূরা আদ দোহা, আয়াত: ১-৩)
g) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর কাজকে নিজের দিকে সম্পর্কিত করেছেন-
আর যখন আপনি কাঁংকর ছুঁড়েছিলেন তখন তা আপনি ছুঁড়েন নি, (হে রাসুল (সা) বরং তা) আল্লহই ছুঁড়েছিলেন”। (সূরা আনফাল, আয়াত ১৭)
h) নিশ্চয়ই যারা আপনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেছেন মূলত তাঁরা আল্লাহর হাতে বাইয়াত গ্রাহণ করেছেন। আল্লাহর পবিত্র হাত তাঁদের হাতের উপর রয়েছে। (আল-কুরআন,সূরা আল-ফাতাহ, আয়াত : ১০)
i) হে ঈমাণদারগণ!আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অগ্রবর্তী হইওনা। (আল-কুরআন,সূরা হুজরাত, আয়াত : ১)
11) নবীজী (সা) এর পরিবার পরিজন ও উম্মুল মুমেনীন গনের শানে আল্লাহ পাক বলেন,
يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
32
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
33
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
12) “রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না।” (২৪ : ৬৩)
13) ‘‘তোমাদের কেউই ঈমানদার হবে না যতক্ষণ আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সকল মানুষ হতে প্রিয়তম না হই।’’
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭৮]
“তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান
সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে(নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন
সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।”
Reference :-
[√ বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪, ১৫]
“ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কোন ব্যক্তি মুমিন হতে পারবে না,
যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি এবং সমস্ত মানুষের তুলনায় অধিক প্রিয় হই”। -
reference :-
সাহিহ মুসলিম শরীফ খন্ড ১, পৃঃ ১৩৭, হাদীস নং-৭৬,৭৭।
“তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান
সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে(নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন
সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।”
Reference :-
[√ বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪, ১৫]
“ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কোন ব্যক্তি মুমিন হতে পারবে না,
যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি এবং সমস্ত মানুষের তুলনায় অধিক প্রিয় হই”। -
reference :-
সাহিহ মুসলিম শরীফ খন্ড ১, পৃঃ ১৩৭, হাদীস নং-৭৬,৭৭।
14) " যে ব্যক্তি আমার কোনো উম্মতের
একটি প্রয়োজন পূর্ণ করল সে আমাকে সন্তুষ্ট করল আর যে আমাকে সন্তুষ্ট করল সে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল যে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল আল্লাহতাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন।"
(শুআবুল ঈমান, বায়হাকী,হাদীস : ৭৬৩৫)
15) " রাসূলুল্লাহ (ﷺসা:) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল, সে আল্লাহরই অনুসরণ করল, আর যে ব্যক্তি আমার নাফরমানী করল, সে তো আল্লাহ্র নাফরমানী করল।"
( সুনানু ইবনে মাজাহঃ- ০৩)
16) " আমার খাতিরে আল্লাহ্ তায়ালা, আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে বাধ্য হয়ে করেছে। "
[ইবনে মাজাহ্ (নং-২০৪৫)]
17) " হযরত উরওয়া বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন-"যখনই প্রিয় নবী (সঃ) থুথু মোবারক ফেলতেন,সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ না কেউ তা হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন এবং থুথু মোবারক মুখে ও শরীরে মালিশ করে নিতেন।"
( বোখারী, ১ম খন্ড, অযু অধ্যায়, ১৬৮ পরিচ্ছেদ)
18) "হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত, নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) একপাত্র পানি চাইলেন। একটি বড় পাত্র তাঁর কাছে আনা হল, তাতে সামান্য পানি ছিল। তারপর তিনি তাঁর মধ্যে তাঁর আঙ্গুল মোবারক রাখলেন। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন: আমি পানি দিকে তাকাতে লাগলাম। নবীজির আঙ্গুলের ভেতর দিয়ে পানি বের হতে লাগল। আনাস (রা) বলেন: যারা উযূ করেছিল, আমি অনুমান করলাম তাদের সংখ্যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ জন। "
(সহীহ বুখারী শরীফ, হাদিস নং: ২০০)
19) "নিশ্চয় আমার দু’চোখ ঘুমায় আমার কলব ঘুমায়না। "(সহীহ বুখারী-১/১৫৪)
অপর হাদিসে আছে "রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যেভাবে আমি সামনের দিকে দেখি ঠিক
সেভাবে পেছনের দিকে দেখি"
[মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ১১৬ পৃষ্ঠা]
20) "হযরত মুহাম্মাদ(সা:) বলেন ,"
*------তোমাদের কে আছো আমার মত ?"
অপর হাদিস এঃ--
*------আমি তোমাদের কারো মত না ! "
অপর হাদিস এ:--
*----- তোমাদের কেহ আমার অনুরূপ না,
*----আমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্ আমাকে আহার করান এবং পান করান "
--------নিচের. হাদিসগুলোতে দেখুন~~~~
Referance:::::---
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.183
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.182
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.188
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.185
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.184
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.187
~~Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 348
~~Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 347
♥হে ঈমানদারগণ!নিজেদের কন্ঠস্বরকেউঁচু করোনা ঐ অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী)এর কন্ঠস্বরেরউপর এবং তাঁর সামনে চিৎকার করে কথা বলো না যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো, যেন কখনো তোমাদের কার্যসমূহ নিষ্ফল না হয়ে যায়। আর তোমাদের খবরই থাকবেনা। নিশ্চয়ই যারা আপন কন্ঠস্বরকেনিচু রাখে আল্লাহর রাসূলের নিকট, তারা হচ্ছে ঐ সব লোক, যাদের অন্ত্মরকে আল্লাহ তায়ালা খোদাভীরুদের জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে। (আল-কুরআন,সূরা হুজরাত, আয়াত : ২-৩)
♥পবিত্র হাদিসের আলোকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামেরমর্যাদা-
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি রসূলগণের উপর নেতৃত্বদানকারী। এতে আমার কোন অহংকার নেই। আমি প্রথম শাফায়াতকারী এবং প্রথমে আমার শাফায়াত কবুল করা হবে।এতে আমার কোন অহংকার নেই। (দারমী : আল-মুসনাদ,১/৫৮, হাদীস : ৫০)
♥উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন আমি নবীকূলের ইমাম হব। তাঁদের মধ্যে শাফায়াতকারী হব। এতে আমার কোন অহংকার নেই। (তাবরানী : আল-মু’জামুল আওসাত, ১/১৭৫, হাদীস : ১৭৬)
♥হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার অনুসারী অধিক হবে, সর্বপ্রথম আমি জান্নাতের দরজা নাড়া দিব। (মিশকাতুল মাসাবিহ, পৃষ্ঠা : ৫১৪)
♥হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন, সকল নবীর উপর পাঁচটি বিষয় আমাকে শ্রেষ্ঠত্বদেয়া হয়েছে। আমাকে জাওয়ামেউল কালিম (স্বল্প কথায় অধিক তাৎপর্যপূর্ণ বাক্যে কথা বলার শক্তি) দেয়া হয়েছে। শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চার করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে। সমস্ত্ম জমিনকে আমার জন্য মসজিদ ও পবিত্রকারীকরা হয়েছে। আমি সমস্ত্ম সৃষ্টির নিকট প্রেরিত হয়েছি। আমার উপরই নবুয়তকে শেষ করা হয়েছে। (মুসলিম : আসসহীহ, ৩/১০৯, হাদীস : ৮১২)
♥হাশর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরণযুগলের নিকট হবে-
আমার কতগুলো নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মদ, আমি আহমদ, আমি বিমোচনকারী, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা কুফূরী উৎপাটন করেছেন। আমি হাশরের ব্যবস্থাপকআমার চরণযুগলের নিচে হাশর হবে। (বুখারী হাদীস : ৩২৬৮/মুসলিম হাদীস : ৪৩৪৩)
♥ধনভান্ডারের চাবিসমুহ দেয়া হয়েছে-সহীহ হাদিস থেকে:-
১) হযরত ওক্ববাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- “নিশ্চয় আমাকে পৃথিবীর সমস্ত
ধনভাণ্ডারের চাবিগুচ্ছ দেওয়া হয়েছে ।” [বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৫৫৮ পৃঃ, মুসলিম শরীফ ২য় খণ্ড ২৫০ পৃঃ]
২) হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- “আমাকে যমীনের সমস্ত ধনভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে।” [বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ১০৪২ পৃঃ, মুসলিম শরীফ ২য় খণ্ড ২৪৪]
♥উনার নূরুশ শেফা মুবারক (সাধারন অন্য মানুষের ক্ষেত্রে যেটা ছোট ইস্তিঞ্জা বা পেশাব বুঝায় ) পুতঃপবিত্র ,যা পানে জান্নাত নছীব হয়। সুবহানাল্লাহ্ ! হাদীস শরীফে বর্নিত আছে -
ﻋﻦ ﺣﻜﻴﻤﺖ ﺑﻨﺖ ﺍﻣﻴﻤﺔ ﺑﻨﺖ ﺩﻗﻴﻘﺔ ﻋﻦ
ﺍﻣﻬﺎ ﺍﻧﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺒﻮﻝ ﻓﻲ ﻗﺪﺡ ﻋﻴﺪﺍﻥ ﺛﻢ
ﻳﺮﻓﻊ ﺗﺤﺖ ﺳﺮﻳﺮﻩ ﻓﺒﺎﻝ ﻓﻴﻪ ﺛﻢ ﺟﺎﺀ
ﻓﺎﺭﺍﺩﻩ ﻓﺎﺫﺍ ﺍﻟﻘﺪﺡ ﻟﻴﺲ ﻓﻴﻪ ﺷﻴﺊ ﻓﻘﺎﻝ
ﻻﻣﺮﺃﺓ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻬﺎ ﺑﺮﻛﺔ ﻛﺎﻧﺖ ﺗﺨﺪﻡ ﺍﻡ
ﺣﺒﻴﺒﺔ ﺟﺎﺀﺕ ﺑﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﺭﺽ ﺍﻟﺤﺒﺸﺔ ﺍﻳﻦ
ﺍﻟﺒﻮﻝ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺪﺡ ؟ ﻗﺎﻟﺖ
ﺷﺮﺑﺘﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻘﺪ ﺍﺣﺘﻈﺮﺕ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ
ﺑﺤﻈﺎﺭ
অর্থ : হযরত হাকীমা বিনতে আমীমা বিনতে দাক্বীক্বা মাতা থেকে বর্ননা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি বলেছেন, একদা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি পাত্রে নূরুশ শেফা মুবারক করলেন এবং তা খাট মুবারকের নিচে রেখে দিলেন। এরপর তার একটি ব্যবস্থা করার ইচ্ছা করলে এসে দেখলেন পাত্রের মধ্যে কিছু নেই। তখন তিনি বারাকা নামের এক মহিলা, যিনি হাবশা হতে উম্মু হাবীবা আলাইহাস সালাম উনার খাদিমা হিসাবে এসেছিলেন, তাঁকে বললেন, পাত্রের মধ্যে যে নূরুশ শেফা মুবারক ছিলো তা কোথায় গেল ?
উত্তরে তিনি বললেন, আমি উহা পান
করে ফেলেছি। তখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অবশ্যই তুমি তোমার নিজেকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ রাখলে।" সুবহানাল্লাহ্ !!
দলীল -
√ ত্ববরানী ফিল মু''জামিল কবীর ২৪
খন্ড ১৮৯ পৃষ্ঠা !
√ ত্ববরানী ফিল মু'জামিল কবীর ২৫
খন্ড ৮৯ পৃষ্ঠা !
√ আল মুসতাদরেক লিল হাকিম ১ম
খন্ড ২৭২ পৃষ্ঠা - ৫৯৩ নং হাদীস !
√ আল মুসতাদরেক লিল হাকিম ৪র্থ
খন্ড ৭১ পৃষ্ঠা - ৬৯১২ নং হাদীস !
√ ইবনু হিব্বান ১৪১৩ নং হাদীস !
√ দালাইলুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ৬৫৪
পৃষ্ঠা !
√ খাছায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ১২২
পৃষ্ঠা !
√ মাদারেজুন নবুওয়াত ১ম অধ্যায় !
√ মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক !
√ আদদারু কুতনী
√ আবু ইয়ালা !
সুবহানাল্লাহ্ !!
রাসূলে পাক (দ) এর হাত মোবারকের সুগন্ধি
♥হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণ ছিল উজ্জ্বল,উনার ঘাম মুবারক ছিল মুক্তার ন্যায়| তিনি সামনের দিকে ঝুকে হাঁটতেন| উনার হাতের চেয়ে অধিক কোমল কোন রেশম আমি স্পর্শ করিনি| তাঁর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক সুগন্ধি কোন মেশক-আম্বরেও আমি পাইনি|
[সহীহ মুসলিম-২৩৩০, মুসনাদে আহমাদ-১৩৪৩৯]
♥হযরত জাবের ইবনে সামুরা রাঃ বলেন,
আমি রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লাম এর সাথে ফজরের নামায আদায় করলাম, অতঃপর নিজের হুজরা মুবারকের দিকে যাচ্ছিলেন । যাওয়ার পথে যত বাচ্চা দেখলেন সকলের মুখের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন, এক পর্যায়ে আমার মুখের উপরও । আমি এমন কোমলতা ও সুগন্ধি অনুভব করলাম মনে হচ্ছিল যেন আতরের বক্সের ভেতর থেকে তিনি এই মাত্র হাত মুবারক বের করে এনেছেন ।
(মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড,২৫৬ পৃঃ, মিশকাতুল মাসাবীহ, ৫১৭পৃঃ )
♥হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (দঃ) ইরশাদ করেছেন:- আল্লাহ পাক 'লাল গোলাপ' কে তাঁর সকল নবীগণ (আঃ)-এর সুগন্ধী ছড়াবার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে * হুযুর নবী করিম (দঃ) ইরশাদ করেছেন:- যে ব্যক্তি আমি নবীর সুগন্ধী পেতে চায়, সে যেন লাল গোলাপ ফুলের সুগন্ধী গ্রহণ করে । ( "নুযহাতুল মাজালিস" ২য় খন্ড ) - সুবহানাল্লাহ
প্রানের নবীজী (সা) ওনার এতই শান যএ যদি নামাজে দন্ডায়িত অবস্থায়ও কেউ থাকে তবুও তখন রাসুল (সা) এর ডাকে সারা দেয়া ওয়াজিব:-
তিনি বর্ননা করেন-আমি মসজিদে নামাজ পর্তে সিলাম এমতবস্তায় নবী কারীম ( সা ) আমাকে আহবান কর্লেন তখন আমি তার ডাকে সারা দেয়নি..অতপর নামাজ শেষ করে তার কাছে উপশথিত হয়ে বল্লাম ইয়া রাসুলাল্লাহ নিশ্চই আমি নামাজে রত ছিলাম! ,( সে কারনে তৎকহনাত আমি আপ্নার ডাকে সাড়া দিতে পারিনি) তখন রাসুল কারীম (দ ) এর্শাদ কর্লেন ! আল্লাহ তালা কি এ কথা বলেন নি?
হে ঈমান্দার্গণ জখনই আল্লাহ এবং তার রাসুল( দ ) তমাদের্কে আহবান করে তখনই তাদের ডাকে সাড়া দাও..!
( মেশকাত শরীফ ১৮৪ নাম্বের প্রিস্থা এবং বুখারি শরিফ ২ খন্দ ৬৪২ ও ৬৬৯ নাম্বের প্রিস্থা..)
সবশেষে, সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা হবে সব প্রানের নবীজি (সা) বলে গেছেন এটা ওনার ইলমে গায়েবের উত্তম বর্ননা :-
♥হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হুযূর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে দন্ডায়মান হলেন অতঃপর সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তথা বেহেশতবাসীরা বেহেশতে এবং দোযখবাসীরা দোযকে প্রবেশ করা পর্যন্ত সবকিছু আমাদের সামনে বলে দিলেন । আমাদের মধ্যে যারা মূখস্থ রাখতে পেরেছে তারা মুখস্থ রেখেছে; আর যারা ভূলে যাবার তারা ভূলে গেছে । [সহীহ বুখারী শরীফঃ কিতাবু বাদয়িল খালক্ব, হাদীস নং- ৩০২০]
অবশেষে হায়াতুন্নবী (সা) সকলের থেকে বিদায় নিয়ে পর্দা করলেন এই মৃত্যু কেমন মৃত্যু ছিল তা পড়ে দেখুন :-
♥ বিশ্র ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) আবূ সালামা (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) আমাকে বলেছেন, [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ওফাতের খবর পেয়ে] আবূ বক্র (রাঃ) 'সুন্হ'-এ অবস্থিত তাঁর বাড়ি থেকে ঘোড়ায় চড়ে চলে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকদের সাথে কোন কথা না বলে আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি 'হিবারাহ' ইয়ামানী চাঁদর দ্বারা আবৃত ছিলেন। আবূ বক্র (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমণ্ডল উম্মুক্ত করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, তারপর কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, ইয়া নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আল্লাহ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্রিত করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল তা তো আপনি কবুল করেছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা | হাদিস নাম্বার: 1169
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তিনি এক বার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করে নিয়েছেন আর তিনি জীবিত আছেন এবং কিয়ামতের আগ পর্যন্ত জিন্দা থাকবেন।
♥আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:-
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚبَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
যারা আল্লাহ্ পাকের রাস্তায়
শহীদ হয়েছেন তাদের কে তুমি মৃত মনে করো
না,বরং তারা তাঁদের নিজেদের রব এর নিকট জীবিত ও রিজিক প্রাপ্ত।”(সুরা আলইমরান ১৬৯)
♥আরো বর্নিত আছে:-
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ (سورة البقرة-154
“আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবেতা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।”
(সূরা বাকারা-১৫৪)
Proof::-
2:154,3:169 আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, শহীদগণ
কবরে জীবিত। আর এটা বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, নবীগণও কবরে জীবিত। কেননা নবীগণের মর্যাদা শহীদদের তুলনায় অনেক উর্দ্ধে। সুতরাং শহীদগণ যদি কবরে জীবিত থাকেন,নবীগণ ও কবরে জীবিত ।এটা ইমাম তিরমিযী(র) ও ইমাম বাইহাকী(র) সহীহ হাদিস দারা প্রমাণ করেছেন।
(Nayl al-Awtar, Volume 003, Page No. 82)(Fath al-Bari>sarhe bukhari, Volume 006: Page No. 379)
এই হায়াতুন্নবী (সা) টপিক্স এখানে বিশাল ভাবে আলোচনা করা হয়েছে:-
http://goo.gl/jwXZyM
♥রাসূলের শানে বিয়াদবী করলে বিবাহিত
স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে
“যে কোন মুসলমান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মন্দ
বলে তাঁর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা কোন দোষ কিংবা ত্রুটিকে তাঁর
প্রতি সম্পৃক্ত করে, নিশ্চয় সে আল্লাহর
সাথে কুফর করে। তার স্ত্রী তার বিবাহ থেকে পৃথক হয়ে যাবে।”
( কিতাবুল খারাজ কৃত ইমাম আবূ ইয়ূসুপ ১৮২ পৃষ্ঠা, ফাতাওয়া-ই শামী ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা )
Post a Comment